রিফাত ফরাজী ৭ দিনের রিমান্ডে
বরগুনা প্রতিনিধি : রিফাত শরীফ হত্যা মামলার দুই নম্বর আসামি রিফাত ফরাজীকে সাতদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। বুধবার (৩ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে রিফাত ফরাজীকে হাজির করে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির রিমান্ডে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) ও রিফাত হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হুমায়ন কবির বলেন, রাত ২টার দিকে রিফাত ফরাজীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এরপর দুপুর ২টার দিকে তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করি। আদালত সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে বরগুনায় সংবাদ সম্মেলনে বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম জানান, রিফাত ফরাজীকে মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাত ২টার দিকে বরগুনা সদর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে কীভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তদন্তের স্বার্থে তা বলা যাচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, ২৬ জুন (বুধবার) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে। তার স্ত্রী আয়েশা আক্তার মিন্নি হামলাকারীদের বাধা দিয়েও স্বামীকে রক্ষা করতে পারেননি। গুরুতর আহত রিফাতকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ওই দিন বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এই ঘটনায় ২৭ জুন ১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন রিফাতের বাবা মো. আবদুল হালিম দুলাল শরীফ। আসামিরা হলেন- সাব্বির আহমেদ নয়ন ওরফে নয়ন বন্ড (২৫), মো. রিফাত ফরাজী (২৩), রিফাত ফরাজীর ভাই মো. রিশান ফরাজী (২০), চন্দন (২১), মো. মুসা, মো. রাব্বি আকন (১৯), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রায়হান (১৯), মো. হাসান (১৯), রিফাত (২০), অলি (২২) ও টিকটক হৃদয় (২১)। বাকি পাঁচ থেকে ছয় জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে রিফাত ফরাজীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়া, সন্দেহভাজন আরও পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর মঙ্গলবার ভোর রাতে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় প্রধান আসামি নয়ন বন্ড।
from BDJAHAN https://ift.tt/2YuPe82
via IFTTT