রণদা প্রসাদ হত্যা মামলায় মাহবুবুরের মৃত্যুদণ্ড
অনলাইন ডেস্ক : মুক্তিযুদ্ধের সময় দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা (আর পি সাহা) ও তার ছেলে হত্যাকাণ্ডসহ তিনটি গণহত্যার অভিযোগে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের মাহবুবুর রহমানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেন । আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত। আসামি মাহবুবুর রহমানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম। এর আগে ২৪ এপ্রিল এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রেখেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। পরে ২৬ জুন রায় ঘোষণার জন্য ২৭ জুন দিন ঠিক করেন ট্রাইব্যুনাল। গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনাল মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন। পরে ২৮ মার্চ অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। ২০১৭ সালের ২ নভেম্বর তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে মামলার প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ওইদিন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান বলেন, আসামি মাহবুবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মে মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় রাজাকারদের সহায়তায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ২০-২৫ জন সদস্যকে নিয়ে রণদা প্রসাদ সাহার বাসায় অভিযান চালায়। ‘আসামি এক সময় জামায়াতের সমর্থক ছিলেন। কিন্তু নির্দলীয়ভাবে তিন তিনবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও প্রতিবারই পরাজিত হয়েছেন।’ মামলাটির তদন্ত শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালের ১৮ এপ্রিল। তদন্ত সম্পন্ন করতে দেড় বছরেরও বেশি সময় লেগেছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় আসামি টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের ভারতেশ্বরী হোমসের আশপাশের এলাকা, নারায়ণগঞ্জের খানপুরের কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ও তার আশপাশের এবং টাঙ্গাইল সার্কিট হাউজ এলাকায় অপরাধ সংঘটিত করে। তদন্তে মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে অপহরণ, হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও গণহত্যার প্রমাণ উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, তদন্তকালে ৬০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে এবং মোট ১০০ পাতার নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়। মামলাটি তদন্ত করেন সংস্থার তদন্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমান। মানবসেবায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ স্বাধীনতার পর সরকার আর পি সাহাকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক দেয়। মানবহিতৈষী কাজের জন্য ব্রিটিশ সরকার রায় বাহাদুর খেতাব দিয়েছিল রণদা প্রসাদ সাহাকে।রণদা প্রসাদ সাহার বাবার বাড়ি ছিল টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে। সেখানে তিনি একাধিক শিক্ষা ও দাতব্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এক সময় নারায়ণগঞ্জে পাটের ব্যবসায় নামেন রণদা প্রসাদ সাহা; থাকতেন নারায়ণগঞ্জের খানপুরের
from BDJAHAN https://ift.tt/2NbxqNR
via IFTTT