গাইবান্ধায় কাঠের সেতু নির্মাণের উদ্যোগ

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধা সদর উপজেলায় একটি ইউনিয়নের পাঁচ গ্রামের মানুষকে নৌকায় চড়ে ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার করতে হতো। বর্ষায় নদীতে পানিবৃদ্ধি আর তীব্র স্রোতে পারাপারে ঝুঁকি ও দূর্ভোগ বেড়ে যেত অনেকগুন।

এলাকার মানুষের দূর্ভোগ লাঘবে স্থানীয় সাংসদ ও জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি উদ্যোগ নেন একটি কাঠের সেতু নির্মাণের। কংক্রিটের স্থায়ী সেতু নির্মাণের দাপ্তরিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন ও অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত জনদূর্ভোগ কমাতে বর্ষার আগে অস্থায়ীভাবে এ কাঠের সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়।

উপজেলার ঘাগোয়া ইউনিয়নের কাঠিহারা ও গঙ্গাডোবা গ্রামের মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে মানস নদী। প্রায় ২০০ফুট প্রস্থের নদীটি পেরিয়ে চলাচল করে দুই গ্রামের মানুষ। নদীর একপাশে রয়েছে কাঠিহারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। অন্যপাশে রয়েছে বাজার ও ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়। গ্রামের মানুষ বছরের পর বছর ধরে নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ দৈনন্দিন জীবনের নানা চাহিদা মেটানোর জন্য জেলা সদরসহ দেশের অন্য শহরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছে। প্রতিদিন নৌকায় নদী পেরিয়ে স্কুলে ছুটতে হয় গ্রামের ছোট্ট শিশুদের।

নদীর দু’পাড়ের দুই গ্রামসহ আশপাশের পাঁচ গ্রামের মানুষ বাজার কিংবা ইউপি কার্যালয়ে যান নৌকায় নদী পেরিয়ে। এপাড়ের মানুষকে ওপাড় থেকে নৌকা ফিরে আসার অপেক্ষায় থাকতে হয়, অপচয় হয় সময়ের। বিকল্প পথে প্রায় তিন কিলোমিটার ঘুরপথে যাতায়াত করতে হয়। এলাকাবাসীর দুর্ভোগের বিষয়টি দেখে তাদের জন্য নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা নেন স্থানীয় সাংসদ। বর্ষার আগে জরুরী ভিত্তিতে অস্থায়ীভাবে নদীর ওপর একটি কাঁঠের সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্প (টিআর)কর্মসূচির আওতায় প্রায় ৩ লাখ টাকা ব্যয়ে গাইবান্ধা সদর উপজেলার ঘাগোয়া ইউনিয়নের কাঠিহারা গ্রামে মানস নদীর ওপর ২৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের এই কাঠের সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে।

তারা মিয়া, রফিকুল ইসলাম ও আব্দুল ওয়াহেদসহ এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মানস নদী পাড়ের পাঁচ গ্রামের মানুষ নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে নদী পেরিয়ে চলাচল করতো।

ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা শুনে স্থানীয় সাংসদ নদীর ওপর অস্থায়ী কাঠের সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেন। অস্থায়ী কাঠের সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হলে এই এলাকার মানুষের দূর্ভোগের অবসান হবে। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নদীর ওপর একটি কংক্রিটের স্থায়ী সেতু নির্মাণের দাবি করেন তারা।



from BDJAHAN https://ift.tt/2KJsI84
via IFTTT
Next Post Previous Post