সুনামগঞ্জে সুরমার পানি বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : গত তিনদিনের অব্যাহত বৃষ্টিপাত আর ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ৬৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। সুরমা নদীর পানি বাড়ায় হাওর অঞ্চলেও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। থেমে থেমে বৃষ্টিপাতের জন্য জনর্দুভোগ বেড়েছে। শহরের কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নদী তীরবর্তী এলাকায় বসবাসকারী মানুষ পানি বান্দি হয়ে পড়েছেন। অব্যাহতা ভারী বর্ষণ আর পাহাড়ী ঢলে আস্মিক বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে গেছে সুনামগঞ্জ পৌর শহর, বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার, ছাতক, তাহিরপুরের উপজেলার নিম্নাঞ্চল। এছাড়াও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, জামালগঞ্জ, জগন্নাথপুর, ধর্মপাশা, দিরাই, শাল্লা উপজেলার নিম্নাঞ্চলে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে এই উপজেলাগুলো বন্যার কবলে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়,গত ২৪ ঘন্টা সুনামগঞ্জে বৃষ্টি হয়েছে ৪১৫ মিলিমিটার। অব্যাহত ভারী বর্ষন ও পাহাড়ী ঢলে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বর্ষায় সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমা ৭.২০ সেন্টিমিটার হলেও গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২ পর্যন্ত নদীর পানি প্রভাহিত হচ্ছে ৭.৮৮ সেন্টিমিয়ার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টিপাতে পরিমাণ আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরন কেন্দ্র। ফলে নদীর পানি আরো বৃদ্ধি পেয়ে সৃষ্ট বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। এদিকে বন্যায় ক্ষয়ক্ষয়তি তালিকা অনুযায়ি ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ পুনবার্সন কর্মতকতা ফরিদুল হক।
শুক্রবার সরে জমিনে সুনামগঞ্জ পৌর শহর ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বন্যায় প্লাবিত হয়ে গেছে সদর উপজেলার কুরবান নগর ইউনিয়নের দারারগাঁও, হালুয়ারঘাট, সুরমা ও জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের নিম্নাঞ্চল। সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নবীনগর,বড়পাড়া,উকিলপাড়া,সাববাড়ীঘাট জেল রোডের এলাকার বিভিন্ন ঘরবাড়ি, দোকানপাঠ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে।
আরফিন নগর এলাকার বাসিন্দা খালেক আহমদ বলেন,সকাল থেকে পানি বন্ধি অবস্থায় আছি। বাসার প্রতিটি রুমে পানি ঢুকেছে। সকাল রান্না হয়নি। বাহির থেকে নাস্তা কিনে এনেছি। সাহাববাড়ী ঘাট এলাকার কামাল নামে আরেক জন বলেন,নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে অনেকের বাসাবাড়ীতে পানি ঢুকেছে। সাহাববাড়ী ঘাট রাস্তায় হাটু-উরু পানি। এভাবে আরো একদিন চলতে থাকলে মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে ।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিকী জানান,পাহাড়িঢল ও বৃষ্টিপাতের জন্য সুরমা নদীতে পানি প্রবাহ বাড়ছে। গতকাল শুক্রবার বেলা ১২টায় সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ৬৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে বৃষ্টিপাতে পরিমাণ আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র। ফলে নদীর পানি আরো বৃদ্ধি পেয়ে সৃষ্ট বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। এদিকে বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি তালিকা অনুযায়ী ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ পুনর্বাসন কর্মকর্তা ফরিদুল হক।
from BDJAHAN https://ift.tt/2ZU6EeA
via IFTTT