বিশ্বনাথে শিশু কন্যাকে হত্যা : তালাবদ্ধ ঘর থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে তালাবদ্ধ ঘর থেকে খাদিজা বেগম নামের ৪ বছরের এক শিশু কন্যাকে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের সিঙ্গেরকাছ বাজারস্থ যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুস সালামের বাসার একটি কক্ষ থেকে এই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত খাদিজা বেগম দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার বীরকলস গ্রামের ভ্যান চালক শাহিনুর রহমামের ২য় কন্যা। তার পরিবার দীর্ঘদিন দিন যাবৎ সিঙ্গেরকাছ বাজারস্থ প্রবাসী আব্দুস সালামের বাসার ভাড়াটিয়ে হিসেবে বসবাস করে আসছেন।
নিহত খাদিজার মা সুমনা বেগম জানান- প্রতিদিনের ন্যায় তার স্বামী (খাদিজার পিতা) মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টায় ভ্যান নিয়ে বাসা থেকে বের হন। তখন তিনি (সুমনা) তার ৮বছর বয়সী বড় মেয়ে, ২য় মেয়ে খাদিজা ও ১৪মাস বয়সী পুত্রকে নিয়ে ঘুমি ছিলেন। ঘুম থেকে উঠে দেখতে পান তার পাশে মেয়ে খাদিজা নেই। তখন তিনি বাসার অন্যান্য বাসিন্দাদের ঘরে গিয়ে মেয়েকে না পেয়ে সিঙ্গেকাছ বাজারের আশপাশে খোঁজাখুজি করেন এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার স্বামীকে এই সংবাদটি দেন। স্থানীয় লোকজনদের উদ্যোগে নিখোঁজ মেয়েটি সন্ধান চেয়ে এলাকায় মাইকিং করানো হয়। এরপর বেলা ১টায় খাদিজার ভাড়াটিয়ে বাসায় তার পরিবারের বসবাসের পার্শ্ববর্তী একটি পরিত্যক্ত কক্ষ তালাবদ্ধ দেখে স্থানীয় লোকজনদের সন্দেহ হল। তখন ২য় তলায় বসবাসরত বাসার মালিক যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুস সালাম ও কেয়ারকেটার চান্দসীরকে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা ওই কক্ষে তালা ঝুলানোর বিষয়টি অবগত নন বলে জানান। একপর্যায়ে ওই কক্ষের দরজার তালাটি ভেঙ্গে কক্ষের ভিতরের রান্না ঘরের দেয়ালের সাথে দুটি লোহার আলপিনে ঝুলন্ত অবস্থায় খাদিজার লাশ দেখতে পান লোকজন। বিষয়টি থানা পুলিশকে খবর দিলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ওসমানীনগর সার্কেল) সাইফুল ইসলাম ও বিশ্বনাথ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. দুলাল আকন্দ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শিশুটি লাশ উদ্ধার করেন। এরপর সুরতহাল রিপোর্ট শেষে রাত ১০টায় ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়। তবে কেন কে বা কাহারা কেন এই শিশুটিকে হত্যা করেছে তা জানা যায়নি।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ওসমানীনগর সার্কেল) সাইফুল ইসলাম জানান- এটা প্রায় নিশ্চিত মেয়েটি কেউ হত্যা করেছে। তবে কেন শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে এবং কারা করেছে এই রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা চলছে। এজন্য শিশুটির পরিবার, বাসার অন্যান্যা বাসিন্দা, কেয়ারকেটা ও মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।


from BDJAHAN http://bit.ly/2V4Cg3b
via IFTTT
Next Post Previous Post