কাঁচা আম সংরক্ষণ বিষয়ে কাপ্তাইয়ের পাহাড়ী কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে ২ দিনের প্রশিক্ষণ

কাপ্তাই প্রতিনিধি : কাঁচা আম সংরক্ষণ পরিচর্যা ও প্রক্রিয়াজাতকরণ বিষয়ে দুই দিন ব্যাপী প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ শনিবার (২৭ এপ্রিল) কাপ্তাই উপজেলার পাহাড়ী কৃষি গবেষণা কেন্দ্র রাইখালীতে অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রশিক্ষণ কর্মসুচিতে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলাসহ বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার বাছাইকরা নারী পুরুষ প্রশিক্ষকরা অংশ নেন।
পাহাড়ী কৃষি গবেষণা কেন্দ্র রাইখালীর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পোস্টহারভেস্ট টেকনোলজি বিআরআিই গাজীপুরের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বিভাগীয় প্রধান ড. মোঃ মিয়ারুদ্দীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙ্গামাটি কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক পবন কুমার চাকমা ও রাঙ্গামাটি জেলা কৃষি বিপনন কর্মকর্তা মোঃ এমদাদুল্লা ভূঁইয়া।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কাঁচা আম সংগ্রহোত্তর ও প্রক্রিয়াজাতকরণ কর্মসুচীর পরিচালক ও পোস্টহারভেস্ট টেকনোলজি বিআরটিআই গাজীপুরের উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ গোলাম ফেরদৌস চৌধুরী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন পাহাড়ী কৃষি গবেষণা কেন্দ্র রাইখালীর সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ জায়েদ হোসেন।
স্বল্প খরচে দীর্ঘ সময় ধরে কাঁচা সংরক্ষণ পদ্ধতি, এর পরিচর্যা, আম দিয়ে বিভিন্ন ধরণের আঁচার তৈরি, আঁচার সংক্ষরণ পদ্ধতি, সংরক্ষিত আম ও আঁচার প্রয়োজনে বাজারজাত করণের উপায়, স্বল্প খরচে সংরক্ষিত আম ও আঁচার বিপনন করে আর্থিক লাভবান হবার উপায় ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণকারীদের হাতে কলমে শিক্ষা দেওয়া হয়।
কাঁচা আম সংগ্রহোত্তর ও প্রক্রিয়াজাতকরণ কর্মসুচীর পরিচালক ও পোস্টহারভেস্ট টেকনোলজি বিআরটিআই গাজীপুরের উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ গোলাম ফেরদৌস চৌধুরী বলেন, যখন আমের মউসুম থাকে তখন যদি আম সংরক্ষণ করা যায় সেই আম অন্য সময়ে পারিবারিক কাজে ব্যবহার করা সম্ভব হয়। অসময়ে বাজারে যদি তরতাজা কাঁচা আম পাওয়া যায় তাহলে যে কেউ সেই আমের প্রতি আকৃষ্ট হবেন। গুরুত্বপূর্ণ এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অর্থায়ন করে কৃষি মন্ত্রণালয় এবং এর আয়োজন করে পোস্টহারভেস্ট টেকনোলজি বিভাগ, বিআরআিই, গাজীপুর।
সভাপতির বক্তব্যে পাহাড়ী কৃষি গবেষণা কেন্দ্র রাইখালীর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ আলতাফ হোসেন বলেন, কাঁচা আম সংরক্ষণ বিষয়ে প্রশিক্ষকদের দুই দিন ব্যাপী যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হলো তা অত্যন্ত সময় উপযোগী হয়েছে। যারা এই প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন তারা নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে অন্যদেরও এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে পারবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণকারী একাধিক নারী পুরুষ জানান, আগে আমরা কখনো কাঁচা আম সংরক্ষণ পদ্ধতি জানতাম না। এই প্রশিক্ষণে এসে বিষয়টি ভালোভাবে জানতে পেরেছি। অত্যন্ত সহজ উপায়ে এবং অল্প খরচে কিভাবে কাঁচা আম সংরক্ষণ করা যায় বিষয়টি ভালোভাবে আমাদের শেখানো হয়েছে। পাশাপাশি কাঁচা আম দিয়ে আঁচার তৈরির বিষয়টিও আমরা নতুনভাবে শিখতে পেরেছি। আগে যেভাবে কাঁচা আম দিয়ে আঁচার তৈরি করতাম তার চেয়ে অনেক কম খরচে এবং দীর্ঘ দিন সংরক্ষণের উপায় এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি থেকে আমরা জানতে পেরেছি।
পোস্টহারভেস্ট টেকনোলজি বিআরআিই গাজীপুরের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ মিয়ারুদ্দীন এবং রাঙ্গামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক পবন কুমার চাকমা বলেন, শুধু কাঁচা আম নয় অন্যান্য অনেক ফল এবং কিছু কিছু সবজী দিয়েও সুস্বাদু আঁচার তৈরি বিষয়ে এখানে প্রশক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র বিমোচনে ফলমূলের গুরুত্ব, ফলমূলের সংগ্রহোত্তর পরিচর্যা ও ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়েও প্রশিক্ষণার্থীদের শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণকারী সবাই উপকৃত হবেন বলেও তাঁরা আশা প্রকাশ করেন।



from BDJAHAN http://bit.ly/2GCKCVH
via IFTTT
Next Post Previous Post