আদমদীঘিতে-আজ রবিবার চৈত্র সংকান্তি চড়ক ও ঐতিহ্যবাহী মেলা
আদমদীঘি(বগুড়া)প্রতিনিধি : বাংলা বছরের সমাপনী মাস চৈত্র। চৈত্রের শেষ দিনটিকে চৈত্র সংক্রান্তি বলা হয়। পঞ্জিকা মতে চৈত্র মাসের শেষ সংকান্তি উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায় নানা পূজা অর্চনা ও আচার অনুষ্ঠান করে থাকে। বাংলা সনের শেষ মাসের নাম করন করা হয়েছে-চিত্রা-নক্ষত্রের নামনুসারে। আদিগ্রন্থ পুরানে বর্ণিত রয়েছে-২৭টি নক্ষত্র আছে যা রাজা/প্রজাপতির দক্ষের সুন্দরী কন্যার নামানুসারে নামকরন করা হয়। একদিন মহা ধুমধামে চন্দ্রদেবের সংগে বিয়ে হলো দক্ষের ২৭কন্যার। দক্ষের এক কন্যা চিত্রার নামনুসারে চিত্রানক্ষত্র এবং চিত্রানক্ষত্র থেকে চৈত্র মাসের নামকরন করা হয়। চৈত্র মাসের অন্যতম প্রধান উৎসব চড়ক। পশ্চিম বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা সদরের মাঝিপাড়া গ্রামে প্রায় ৭শত বছর পূর্ব থেকে চৈত্র সংক্রান্তিতে মানুষের পিঠে বড়শি ফুটিয়ে চড়ক ঘুরানো হয়ে আসছে। এবার হিন্দু ধর্ম মতে পঞ্জিকা অনুসারে ৩০শে চৈত্র(১৪এপ্রিল/২০১৯) চৈত্র সংকান্তি উপলক্ষে আজ রবিবার মাঝিপাড়া গ্রামে চড়ক ও মোলা অনুষ্ঠিত হবে। চড়ক পূজা উপলক্ষে মাঝিপাড়া গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায় মন্দিরে পূজা অর্চনা ও মানুষের পিঠে বরশি ফুটিয়ে চড়ক ঘুরানোর আয়োজন করেছে। আদমদীঘি সদরের মাঝিপাড়া গ্রামের চড়ক পূজা উদযাপনর অয়োজকরা জানন, মন্দিরে ঘটস্থাপন পূজা করে পূজার কার্যক্রম শুরু করার পর ফুলভাংগান পূজা, নাগরাকাটা পূজা,কালী পূজা ও ভড়ন খেলা,শ্বশ্মান খেলা,বৃক্ষস্বরী পূজা,মহালদার পূজা,শিতলা পূজা,শিব পূজা সহ পূজা অর্চনা অনুষ্ঠিত হয়। আজ ৩০চৈত্র সংকান্তি রবিবার সকালে চড়ক গাছে পূজা করা হবে এবং বিকেলে লম্বা গাছের খুটিতে বাঁশ বেধে দড়ি ঝুলিয়ে চড়ক গাছ তৈরী করে মানুষের পিঠে বড়শি ফুটিয়ে চড়ক ঘুরানো হবে।। চড়ক কল্পে মানুষের পিঠে বড়শি ফুটানো সহ তান্ত্রিক মন্ত্র পরিচালনা করেন মাঝিপাড়া গ্রামের সন্যাসী মদন বিশ্বাস। চৈত্র সংকান্তি চড়ক উপলক্ষে আজ রবিবার ঐতিহ্যবাহী মেলা অনুষ্ঠিত হবে। পূজা ও চড়ক মেলা উপলক্ষে আদমদীঘির মাঝিপাড়া গ্রাম সহ আশপাশের গ্রামগুলোতে জামাই-মেয়ে সহ আতœস্বজনের ব্যাপক সমাগম ঘটে।
from BDJAHAN http://bit.ly/2IiWkrA
via IFTTT