ঝালকাঠি ইডেন ছাত্রীর পরিবারে কান্নার রোল থামছে না, প্রেমিকের বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
রহিম রেজা, ঝালকাঠি থেকে : বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে দাম্পত্ত্য সম্পর্কে জড়িত থেকেও প্রেমিকা ঝালকাঠির এক মেধাবী কলেজ ছাত্রীর সাথে প্রতারণায় ও বিয়ের আইনী স্বীকৃতি না দিয়ে বিম্বাস ঘাতকতা করে আত্মহত্যা পথে ঠেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে শোকাহত পরিবারটি সংবাদ সম্মেলন করে প্রতারক প্রেমিক মাহিবি ও তার পবিরারের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবী করে। মেয়েকে হারিয়ে মা-বাবা আর আত্মীয় পরিজনের কান্নার রোল কোন ভাবেই থামানো যাচ্ছে। ঝালকাঠি শহরের নিম্মমধ্যবিত্ত পরিবারের বড় মেয়ে সায়মা কালাম মেঘা পড়াশুনা করত ঢাকার ইডেন কলেজের সমাজ কল্যান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে। গত ২১ এপ্রিল বিকেলে ঢাকার কলাবাগান এলকার একটি বাসা থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মেঘার পরিবারের অভিযোগ ঝালকাঠি শহরের পূর্ব চাঁদকাঠি এলাকার মাহিবি হাসান নামে এক তরুণের সাথে তার দুবছরেও বেশি সময় ধরে প্রেমেরসম্পক্য চলছিলো। ওই সম্পর্ক্যের সূত্র ধরে ঝালকাঠি ও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে দু’জনের মধ্যে শারিরিক সম্পর্ক্যও হয়। দু’জনের বিয়ের বিষয়টিও প্রায় পাকা হয়।বিয়ের শাড়ি, গহনাসহ আনুসাঙ্গিক জিনিসপত্র কিনে মেঘা প্রস্তুতিও নিতে থাকে। কিন্তু এ বাধ সাধেন মাহিবির মা সেলিনা বেগম। মেঘাদের আর্থিক অবস্থা ভাল না হওয়ায় সম্পর্ক্যে এতদূর এগিয়ে যাওয়ার পরও বেকে বসেন তিনি। মায়ের কথায় মাহিবি মেঘার সাথে সম্পর্ক্য ভেঙে দিতে চাইলে আত্মহননের পথ বেছে নেয়। আত্মহত্যার করার আগে মোবাইল ফোনে মেঘা তার প্রেমিক মাহিবির সাথে লাইভে শেষ বারের মত মিনতিও করেন। আর মাহিবিই মেঘারআত্মহত্যার খবরটি প্রথম মেঘার পরিবারের কাছে মোবাইল ফোনে জানায় বলে মেঘার পরিবারে দাবী। ঢাকার বাসা থেকে মরদেহ উদ্ধারের পর ময়না তদন্ত শেষে ২৩ এপ্রিল মেঘার দেহ ঝালকাঠিতে আনা হয়। দাফন করা হয় ঝালকাঠি পৌর গোরস্থানে।
from BDJAHAN http://bit.ly/2Gyw3CC
via IFTTT