জালাল উদ্দিন, গুরুদাসপুর (নাটোর) : অরাজনৈতিক, সেচ্ছাসেবী সেবামূলক প্রতিষ্ঠান কল্লোল ফাউন্ডেশন মানুষের ভাগ্যউন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন কল্লোল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা, বাংলাদেশ যুবমহিলালীগের সহসভাপতি এ্যাড. কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি। ২৮ মার্চ নাটোরের বড়াইগ্রামে “তর্ক নয়, যুক্তিই হোক মুক্তির হাতিয়ার” শ্লোগানকে সামনে নিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মাধ্যমিক পর্যায়ে বিতর্ক উৎসব অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

মুক্তি বলেন, কল্লোল ফাউন্ডেশন সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের সহযোগিতা করে তাদের পাশে থেকে তাদের ভাগ্যউন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এসব পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য আদিবাসী স্কুল প্রতিষ্ঠা, ফ্রি মেডিকেল টিমের মাধ্যমে অসহায়দের চিকিৎসা সেবা, দুস্থ্য মহিলাদের দর্জি সেলাই মেশিনের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা, গরীব ছাত্র-ছাত্রীদেরকে কম্পিউটার প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা, অসহায়-দুস্থ্য মানুষদের শীতবস্ত্র বিতরণসহ বিভিন্ন ধরনের কাজ কল্লোল ফাউন্ডেশন করে যাচ্ছে। গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছাত্র-ছাত্রীদেরকেও আর্থিক অনুদান দিয়ে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। ২০১২ সালে গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রামে কল্লোল ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৭১ সালে পাকবাহিনী এক মুক্তিযোদ্ধাকে আক্রমন করতে গিয়ে তাকে বাড়িতে না পেয়ে কল্লোল নামের তার এক শিশু সন্তানকে নির্মমভাবে হত্যা করে। নিহত শহীদ কল্লোল নাটোর ৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের বড় ছেলে এবং কোহেলী কুদ্দুস মুক্তির বড় ভাই। সেই শিশু বড় ভাই কল্লোলের স্মৃতি ধরে রাখতেই মুক্তি প্রতিষ্ঠা করেন কল্লোল ফাউন্ডেশন। প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন উন্নয়ন মুখি কর্মকান্ডে গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রামর প্রত্যন্ত এলাকার সর্বস্তরের মানুষের ভালোবাসা অর্জন করেছে কল্লোল ফাউন্ডেশন। এসব ভালো কাজের পুরস্কার হিসাবে ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠানটি পেয়েছেন জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড। বর্তমানে কল্লোল ফাউন্ডেশনের সদস্য সংখ্যা ৪১জন। প্রতিষ্ঠানটির দাতা সদস্য হিসাবে রয়েছেন শহীদ কল্লোলের ছোট ভাই আসিফ আব্দুলাবিন শোভন। সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যক্ষ মুক্তাদিরুল ইসলাম মিন্টু বিশ^াস এবং সাধারন সম্পাদক রয়েছেন মিল্টন উদ্দিন।



from BDJAHAN https://ift.tt/2YEjSMz
via IFTTT
Next Post Previous Post