বিলুপ্ত প্রায় মুসড় ডাল ফের চাষ হচ্ছে চরে

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা : বিলুপ্ত প্রায় মুসড় ডাল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে চরাঞ্চলের কৃষকরা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ডাল তেল প্রকল্পের আওতায় চরে ফের চাষাবাদ শুরু হয়েছে মুসড় ডালের। তিস্তার ধূ-ধূ বালুচরে চলতি মৌসুমে মুসড় ডালের ভার ফলন দেখা দিয়েছে। মুসড় ডালসহ নানাবিধ ফসলে ভরে উঠেছে তিস্তার চরাঞ্চল। জমি জিরাত খুঁয়ে যাওয়া পরিবারগুলো পুর্নরায় চরে ফিরে এসে চাষাবাদে ঝুকে পড়েছে। দীর্ঘদিন পর নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়া জমির ফসল ঘরে তুলতে পেরে খুশি কৃষকরা।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত রাক্ষুসি তিস্তা নদী এখন আবাদি জমিতে পরিণত হয়েছে। চরাঞ্চলের হাজারও একর জমিতে এখন চাষাবাদ করা হচ্ছে নানাবিধ প্রজাতির ফসল। বিশেষ করে ধান, গম, ভুট্টা, আলু, বেগুন, মরিচ, পিঁয়াজ, রসুন, টমেটো, বাদাম, সরিষা, তিল, তিশি, তামাক, কুমড়া মুসড় ডালসহ বিভিন্ন শাকসবজি চাষাবাদ করা হচ্ছে। কথা হয় কাপাসিয়া ইউনিয়নের সিঙ্গীজানি গ্রামের মুসড় ডাল চাষি রফিকুল ইসলামের সাথে। তিনি বলেন, এ বছর চরে প্রথম মুসড় ডাল চাষ করা হয়েছে। ফলনও ভাল হয়েছে। তিনি নিজে তিন বিঘা জমিতে মুসড় ডাল চাষ করেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ডাল তেল প্রকল্পের আওতায় স্বল্প খরচে অধিক লাভের আশায় চরের কৃষকরা এ বছর মুসড় ডাল চাষ করেছে।

তিনি বলেন, ফলন ভাল হলে অধিক লাভ করা যাবে। প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় ৮ হতে ১০ মন ডাল পাওয়া যায়। যার আনুমানিক মূল্য ৪০ হতে ৫০ হাজার টাকা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৬ হেক্টর জমিতে মুসড় ডাল চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় বেশি। কাপাসিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন জানান, চরাঞ্চলের জমিতে এখন নানাবিধ ফসলের ভাল ফলন হয়। সে কারণে চরের মানুষ এখন অনেক খুশি। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাশেদুল ইসলাম জানান, পলি জমে থাকার কারণে চরের জমি অনেক উর্বর। যার কারণে যে কোন প্রকার ফসলের ফলন ভাল হয়। তিনি বলেন, চরের কৃষকরা নিজে পরিজন নিয়ে জমিতে কাজ করে। সেই কারণে তারা অনেক লাভবান হয়। চরের জমি এখন বিভিন্ন প্রকার ডাল চাষের জন্য উপযোগী হয়ে উঠছে।



from BDJAHAN http://bit.ly/2Rz4hcu
via IFTTT

Next Post Previous Post