রাবিতে ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন শুরু

রাবি প্রতিনিধি : রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ে (রাবি) আন্তর্জাতিক ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন শুরু হয়েছে। ‘সহিংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে মানবতার শক্তিতে উজ্জীবিত হও’ প্রতিপাদ্যে পঞ্চম সম্মেলন শুরু হয়। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ সিনেট ভবনে এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন রাবির সাবেক উপাচার্য ও যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক হাই কমিশনার সাইদুর রহমান খান।

সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অনুষ্ঠানে সাইদুর রহমান খান বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভের পর থেকেই সক্রিয়ভাবে ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়াও জাতিসংঘের শান্তি মিশনে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ সংখ্যক সেনা পাঠিয়ে কঙ্গো, সিয়েরা লিওন, নাইজারসহ বিভিন্ন দেশে শান্তিপ্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। শুধু সেনা দিয়েই নয় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের প্রতিনিধিগণ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শান্তি প্রতিষ্ঠায় কূটনৈতিক কৌশল, আলোচনা ও বিতর্কের মাধ্যমে বিশ্বে প্রতিনিধিত্ব করতে শিখবে। এই সম্মেলন তখনই স্বার্থক হবে যখন প্রতিনিধিগণ জাতিসংঘ ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন।

তিনি আরো বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র একাডেমিক পড়ালেখার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। তাদেরকে বাইরের জগৎ সম্পর্কেও জ্ঞান রাখতে হবে। নিজেকে এগিয়ে রাখতে হলে অবশ্যই নিজেকে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রম এবং বিশ্ব সম্পর্কে জ্ঞান রাখা।’

চার দিনব্যাপী এবারের সম্মেলনের কমিটিগুলো হল- নিরাপত্তা পরিষদ, মানবধিকার পরিষদ, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট, বাংলাদেশ বিষয় বিশেষায়িত কমিটি, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম, জাতিসংঘ মাদক ও অপরাধ বিষয়ক কমিটি এবং আন্তর্জাতিক সমুদ্র সংস্থা।। কমিটির সদস্যরা শিশু-কিশোরের বিরুদ্ধে অপরাধ, ক্রিপ্টোকারেন্সি, জাতিসংঘে বাংলা প্রচলন, সমুদ্রদূষণ রোধসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরবে।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত কমিটি সেশনগুলো অনুষ্ঠিত হবে। তৃতীয় দিন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (টিএসসিসি) সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনের শেষ দিন অংশগ্রহণকারীদের সনদ ও পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে এবারের সম্মেলন শেষ হবে।

এবারের এ ছায়া সম্মেলন চলবে ৩ মার্চ পর্যন্ত। সম্মেলনে দেশ-বিদেশের প্রায় ৫৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ৩৫০ জন শিক্ষার্থী এবং ২৫ জন বিচারক অংশগ্রহণ করবেন। অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগিরা মোট ৮টি কমিটিতে বিভক্ত হয়ে নির্দিষ্ট এজেন্ডার আলোকে আন্তর্জাতিক বিষয় ও সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করবেন। ২রা মার্চ ‘জাতীয় পতাকা দিবসে’ অংশগ্রহণকারী সকলকে নিয়ে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে যেখানে ভারত ও নেপালের ৬জন বিদেশি শিক্ষার্থীসহ সবাই বাংলাদেশের পতাকা হাতে জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়লা আরজুমান বানু, মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ও সংগঠনের উপদেষ্টা প্রধান শাহ আজম শান্তনু প্রমুখ।



from BDJAHAN https://ift.tt/2NDryKc
via IFTTT
Next Post Previous Post