নির্বাচনী হাওয়া : মানিকগঞ্জ-২ কন্ঠশিল্পী মমতাজকে মিলন ও টুটুলের সমর্থনে একাট্টা আ’লীগ বেকায়দায় বিএনপি
মোঃ মিজানুর রহমান, সিংগাইর ( মানিকগঞ্জ ) প্রতিনিধি : আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ আসনের বিকল্প ধারার প্রার্থী সাবেক শিক্ষা উপ-মন্ত্রী ও সাংসদ গোলাম সারোয়ার মিলন ও আ’লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল নৌকার এক মাত্র প্রার্থী বর্তমান সাংসদ কন্ঠশিল্পী মমতাজকে সমর্থন করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে মিলন তাঁর সিংগাইরের নিজস্ব বাসভবনে কন্ঠশিল্পী মমতাজের সঙ্গে একাত্বা পোষন করে মমতাজের নৌকার পক্ষে কাজ করবেন বলে অঙ্গীকারের পর ঐ দিনই বিকালে নির্বাচনী এলাকা সিংগাইরের মানিকনগর বাজারে আ’লীগের বিশাল জনসভায় মিলন ও টুটুল বঙ্গবন্ধুর নৌকাকে বিজয়ী করতে তাদের স্ব স্ব নেতাকর্মী ও অনুসারীদের সঙ্গে নিয়ে সমর্থন করেন। এ সময় বক্তব্যে তাঁরা নৌকার বিজয়ের শপথ নিয়ে রাজনৈতিক মাঠ চষে বেড়াবেন বলেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন। এদিকে মিলন ও টুটুল এ অঞ্চলের প্রবীণ ও বিজ্ঞ রাজনৈতিক দক্ষ ব্যাক্তি। তাই এদের দুইজনের মিলনে আওয়ামীলীগ অনেকটা সুসংগঠিত ও শক্তিশালী হয়েছে বলে মন্তব্য করছেন রাজনৈতিক বিজ্ঞরা। তাই এতে বিএনপি অনেকটা বেকায়দায় পরবেন বলে ধারনা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষজ্ঞ গণ। আবার একইদিন দিবাগত রাতে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রিয় কমিটির ছাত্র বিষয়ক যুগ্ন সম্পাদক মিজানুর রহমান মিরুও মমতাজকে সমর্থন দেন। এবং তার অনুসারীদের নিয়ে নৌকার পক্ষে কাজ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। এতে করে মানিকগঞ্জ ২ আসন বিএনপির হাত ছাড়া হবার সম্ভাবনাই বেশি এমনটাই দাবী আওয়ামীলীগের।
তবে রাজনৈতিক পরিসংখ্যান মতে, স্বাধীনতার পর হতে আজ পর্যন্ত নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হতে পারেনি এই আসনে। ২০১৪ সালে কন্ঠশিল্পি মমতাজ বেগম এই আসনটি থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় এমপি নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি ছিলেন। অন্যদিকে মমতাজ বেগম এমপি থাকাকালে এ আসনে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। তার মতো এত উন্নয়ন পূর্বের কোন নেতা করে দেখাতে পারেনি এ এলাকায়। এজন্যই তিনি শুধু গানে বিখ্যাত হননি, উন্নয়নের মহারানীতেও ভূষিত হয়েছেন। আর একদিকে মহাজোটের শরিক দল জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক এমপি আব্দুল মান্নান যদি নৌকার বিজয়ের লক্ষ্যে নিজের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে মমতাজ কে সমর্থন করেন তবে খেলা হবে জমজমাট এবং আওয়ামীলীগ ফিরে পাবে তাদের হারানো পরিপূর্ণ ঐক্য। মহাজোটের শরিক দল বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন এর নেতা তরুন প্রার্থী এড. ফেরদৌস আহাম্মেদ আসিফ নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। আর একদিকে চরমোনাই পীর মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আলী হাতপাখা প্রতিক নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় বেশ দৌড়-ঝাপ পাড়ছেন। ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা ও মানুষের মতে শান্তি এবং মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছেন তিনি। অপরদিকে ঐক্যফ্রন্টের বিএনপি থেকে একমাত্র প্রার্থী ইঞ্জি. মইনুল ইসলাম খাঁন শান্ত। তাঁর পিতা মরহুম সামছুল ইসলাম খান (নয়া মিয়া) এ আসন থেকে পরপর ৩ বার এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং তিনি শিল্পমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছিলেন। পিতার উত্তরসুরী হিসেবে এবং বিএনপির ঘাটি হওয়াতে তিনি শক্তিশালী প্রার্থী এটা সর্বজন স্বীকৃত। তবে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে তাদের কাঙ্খিত বিজয় নাও আসতে পারে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। তবে বিএনপি বলছে, আ’লীগ আমাদের সভা-মিছিলে বাঁধা দিচ্ছে, হামলা-মামলার ভয়ে বাড়িঘর ছাড়া নেতাকর্মীরা। হামলা-মামলা ভোট কারচুপি না হলে বিএনপি ভোটে জিতবে বলে নেতাকর্মীরা দাবি করেন।
from BDJAHAN http://bit.ly/2EM7W4I
via IFTTT